অন্ধকার ঘরের মধ্যে ও বসেছিল পায়ের উপর পা তুলে ওর হাতের মধ্যে ছিল একটা ধারালো অস্ত্র।ষ,
ওর সামনে একটা লোক হাঁটু গেড়ে বসেছিল ওর হাত পা মুখ সব বাদা ছিল,
আর ওই হাত পা মুখ বাঁধা লোকে পিছনে অনেক গুণী লোক ছিল যারা মাথা থেকে পা অব্দি কালোজামাই ঢাকা,
ওদের মুখও দেখা যাচ্ছে না।
পায়ের উপর পা তুলে থাকা লোকটা ওদের কিছু ইশারা করল ।
ওই লোকটার ইশারা বুঝে একটা লোক সামনে এসে ওর চোখ আর মুখটা খুলল ,
ওই হাটু গেড়ে বসে থাকার লোকটা মুখটা খুলতেই লোকটা ছটফট করছে আর বলছে,"
" আমাকে এখানে কেন এনেছ? আমি কি ক্ষতি করেছি আপনার ? আর আপনি কে কেন আমাকে এনেছ ?
ওই হাত-পা বেঁধে থাকা লোকটা আর কিছু বলবে।
ওর আগেই ওর সামনে থাকা লোকটা গলা পেলো," কি ক্ষতি করেছ !!!
আওয়াজটা শুনেই হাত-পা বাঁধা লোকটা চমকে উঠল ,
এ তার খুবই চেনা কন্ঠ হঠাৎই রুমের আলো জ্বলে গেল তখনই ওই হাত পা বাধা লোকটা দেখতে পেল ওই লোকটার মুখ ।
এ আর কেউ না বায়ু রাইজাদা ওর নিজের ছেলে ওর নিজের ছেলে ওকে কেন এখানে এনেছে?
ও বায়ু কে জিজ্ঞাসা করলো," আমাকে এখানে কেন এনেছো?
আমি কি ক্ষতি করেছি তোমার ?
এবার ওই বায়ু বলল ," আমার কি ক্ষতি করেছো? তুমি অনেক ক্ষতি করেছ আমার,
তাই জন্যেই তোমাকে এখানে আনা হয়েছে এর শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।
বায়ুর বাবা,"
আমি তোমার বাবা হই আর আমি তোমার কেন ক্ষতি করব?
বায়ু ,"এবার তোমায় শাস্তি পেতেই হবে।
বায়ুর বাবা," দেখো বায়ু তুমি ঠিক করছো না !
বায়ু,"আমি ঠিক করছি কিনা করছি না এটা তোমাকে দেখতে হবে না।
এবার বায়ু নিজের একটা গার্ডকে ইশারা করলো কিছু,
তারপর ওই গার্ড ইশারা বুঝে ও রিভলবারটা বার করে চালিয়ে দিল সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর বাবার শরীরটা মাটিতে পড়ে গেল ওর শরীরে আর কোন কিছু রেসপন্স নেই ।
বায়ু একটা মুচকে হেসে কয়েকদিন আগের ঘটনা ভাবতে শুরু করল ।
বায়ু ছোটবেলা থেকেই ওর বাবার সঙ্গেই বড় হয়েছে ওর বাবা ওকে নিজের মতন বানিয়ে নিয়েছে ,
আর ছোটবেলায় ওর মা একটা অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে আর ওই জন্য ও খুব দুঃখিত ছিল কিন্তু কি করার আছে যেটা হয় সেটা তো হয়েছে,
তার কিছুদিন পরেই ওর বাবা নতুন একটা বিয়ে করে নিয়েছে কিন্তু তখন ও খুব ছোট ছিল ওই জন্য কিছু বুঝতে পারেনি,
কেন ওর বাবা এরকম করল যায় পারে হোক গে তারপরে কেটে গেল অনেক মাস তারপরে কেটে গেল অনেক বছর,
আর এখন ওর ২৮ বছর বয়স আর কিছুদিন আগে ও একটা দরকারে ওর বাবার রুমের দিকে যাচ্ছিল,
কিছু একটা শব্দ পেয়ে ও দরজার কাছে থেমে গেল ও শুনতে পেল ,
"উফ জান তুমি ভালো করেছো যে ওই (মাহিকে) তুমি মেরে ফেলেছ,
ওই অ্যাক্সিডেন্টটা আমাদের দুজন মিলে করিয়েছিলাম এটার কেউ জানতে পারল না, ওর সব প্রপার্টিও আমাদের নামে হয়ে গেল আমি তো খুব খুশি আর ও জানতেও পারল না !
ওর নিজের বোন মানে আমি আয়েশা,ওর সঙ্গে এরকম কিছু করব,
আর আমার প্রিয় দিদি জানতেও পারল না ওর সঙ্গে কে এরকম করল শেষ পর্যন্তি মরেই গেল হা,,,,,হা,,,,,হা,,,,
এই বলে হাসতে শুরু করে দিল,এসব শুনে বায়ু তো পুরো চমকে গেল এরকম কিছু হতে পারে,
এত বছরেও একটা বড় বিজনেস আম্পায়ার খাড়া করে দিয়েছে তার ওপর একটা বড় আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং ওর অনেক বড় নাম বিজনেসের জগতে,
বাবাকেওখুব ভালোবাসতো কিন্তু ওর বাবা এরকম কিছু করবে ও বুঝতেই পারলো না,
তারপর ও খুব রেগে যায় আর ও ওর হাতের মুঠো শক্ত করে নেই ,
ও ভেবে নিয়েছি এর বদলাও নিয়ে ছাড়বে ওর সৎ মা মানে ওর মায়ের বোনকে তো ও মেরে ফেলেছে নিজের হাতে কিন্তু সবাই জানে যে ওর সৎ মা আত্মাহত্যা করেছে কিন্তু এর পিছনে বায়ুর হাত ছিল বায়ুর মেরেছিল ঠিক দুদিন আগেই ,
আর আজকেরে ও ওর বাবাকেও ।
ওর মুখে একটা ডেবিল স্মাইল চলে এলোএসব ভাবতে ভাবতে।
ও মনে মনে বলল😈😈,"Datk King এর সাথে কেউ কখনো বিশ্বাসঘাত করে বেঁচে ফিরতে পারেনি, সে যেই হোক সে আমার বাবাই হোক বা না হোক এই বলে ডেবিল স্মাইল করলো আর হাসতে শুরু করল ,হা,,,হা,,,,,,হা,,,,
সবাই ওর হাসি শুনে ভয়ে কাঁপছে।
অন্যদিকে একটা ব্ল্যাক কালারের বাইকে হেলান দিয়ে একটা খুবই কিউট মেয়ে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটা পরনে একটা কালো টপ আর কালো জিন্স তার ওপর একটা কালো জ্যাকেট ও বাইকের মধ্যে হেলান দিয়ে হাই তুলছিল ,🥱
ও হাই তুলছিল আর ওর সামনে থেকে আর দুটো মেয়ে এলো আর তার পিছনে আর দুটো ছেলে এলো ওদের সবার হাতে একটা করে কফি আর কিছু স্ন্যাক ছিল ,
তার মধ্যে আর একটা মেয়ের হাতে দুটো কফি ছিল আর কিছু স্নাক্স ছিল আর ওদের সবাইকে আসতে দেখে ও বলতে শুরু করল ,
"কোথায় ছিলিস তোরা কখন থেকে আমি ওয়েট করছি একটু তাড়াতাড়ি আসতে পারিস না ?
একটা মেয়ে বলল," উফ ম্যাডাম তোর জন্য এত দেরি হল তুই যদি না ওরকম কান্ড ঘটাতিস আর এত দেরি ও হতো না!
ওই গাড়ির মধ্যে হেলান দিয়ে মেয়েটা বলল,"
" উফ ওটা কি আমি ইচ্ছা করে করেছি !!
ওই গাড়ির মধ্যে হেলান দিয়ে মেয়েটা আর কেউ না মালিনী ছিল আমাদের নায়িকা।
এদের সবার সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই, (প্রকাশ রাজ আর নায়রা আর কীর্তি )এরা চারজনে বেস্ট ফ্রেন্ড ফর এভার ছিল এদের দলে আরো অনেক জন আছে কিন্তু এরা চারজন বেস্ট ফ্রেন্ড ফর এভার,
এদের খুব ভালো বন্ধুত্ব, এরা সবাই নিজেদের জন্য নিজের জীবনও দিতে পারে, এত গভীর বন্ধুত্ব ছিল এদের ।
নাইরা বলল," দেখ তুই যদি ওই হোটেলের মালিকের বন্ধুর সাথে ওই রকম কিছু না করতিস তাহলে আর এরকম হত না !!!😡
মালিনী,"ওহ নাইরা চুপ কর একদম আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনি! ওই হোটেলের মালিকের বন্ধুটাই চরিত্রহীন ছিল যে আমার পিছনে লাগছিল তো আমিও একটা পাঞ্চ মেরে দিছি এতে কি খারাপ করেছি ?
নাইরা,"উফ কি খারাপ করেছিস তার জন্য আমাদের যা প্রবলেমে পড়তে হয়েছে না !!! 😡
কীর্তি বলল," উফ আচ্ছা এবার তোরা চুপ কর ভালো লাগছে না আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি না তোদের ঝগড়া শুনতে এসেছি চল যেটা করতে এসেছি সেটাই করি, ভালো লাগে না এরা খালি যেখানে সেখানে শুরু হয়ে যায় এবার দুজন চুপ কর ।
নাইরা," তুই বলছিস বলে চুপ করছি নাহলে এই মেয়েটা যা গণ্ডগোল ঘটায় না ।
এদের এরকম গন্ডগোল দেখে রাজ আর প্রকাশ মজা নিচ্ছে ওরা কিছু বলেনি কীর্তি ওদের দুজনের দিকে ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকে বলল," তোরা মজাই নেই
মজাইনে আর কি করবি তোরা?
প্রকাশ বলল," আচ্ছা আচ্ছা সরি আই এম সরি ভুল হয়ে গেছে কান ধরছি ।
তখনই রাজ বলল," আরে তুই কেন কান ধরছিস তুই কি ভুল করেছিস?
প্রকাশ বলল ,"আই ডোন্ট নো, ওরা এরকম বলল তাই আমিও সরি বলে দিলাম ।
রাজ," যাকে ছার।
কীর্তি বলল," আমরা সবাই ঘুরতে যাই।
সবাই এবার যে যার ঝামেলা মিটিয়ে বার হয়ে পরল ।
কীর্তি বলল," মালিনী এই সটলেক এর পার্ক টা খুবই সুন্দর তো ভালোই করেছি এই উইকেন্ডে এখানে ঘুরতে এসে।
মালিনী বলল," ঠিকই বলছিস কীর্তি ভালোই করেছি আমরা এখানে ঘুরতে এসে।
ওরা যাচ্ছিল হঠাৎ করে প্রকাশের ফোনটা বাজছে আর প্রকাশ ফোনটা রিসিভ করার জন্য এক্সকিউজ করে অন্য জায়গায় চলে গেল।
নাইরা আর কীর্তি পার্কের একটা লেকের কাছে সেলফি তোলার জন্য চলে গেল।
আর রাজ ওর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটা সাইডে চলে গেল ।
পড়ে রইল আমাদের মালিনী আমাদের মালিনী এমনি হাঁটছিল ।
অন্যদিকে বায়ু ,
বায়ু রাইজাদা ওর একটা দরকার ছিল সটলেক এর পার্কের মধ্যেই ছিল ওর মিটিংটা,
মিটিং সেরে ও আসছিল বায়ু ফোনে কারো কারুর সঙ্গে কথা বলছিল বায়ু আশেপাশে কিছু লক্ষ্য করেনি ।
মালিনী এমনি চারিদিকে সৌন্দর্য দেখতে দেখতে যাচ্ছিল ওর খুব ভালো লেগেছে এই জায়গাটা।
হঠাৎ করে মালিনী একটা কিছু মজবুত জিনিসের সঙ্গে ধাক্কা খেলো ও পড়ে যেতে যাবে,
কিন্তু তখনই কেউর একটা হাত ধরে নিল ,
মালিনী সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলো একটা লোক লোকটা অনে লম্বা চওড়া ছিল আর বডি বিল্ডার টাইপের লাগছিল ।
কিন্তু আমাদের নায়িকা ওর বদমেজাজে ফিরে এলো আর বলল ,"তুমি কি দেখে চলতে পারো না অন্ধ নাকি? আর ছাড়ো আমাকে।
ওই লোকটা কিছু না বলে ওর হাতটা ছেড়ে দিল ছেড়ে দিতেই মালিনী নিজেই দুমাস করে পড়ে গেল
আর বলতে শুরু করল ,"ও মারে বাবারে পড়ে গেলাম রে, আপনার কি একটু দয়া মায়া বলে কিছু নেই এভাবে একটা মেয়েকে এরকম ভাবে ফেলে দিলে লজ্জা করছে না আপনার?
লোকটা বল ," আমি আপনার কেন ফেলব আপনিই তো বললে ছাড়ো আমাকে তো আমি ছেড়ে দিলাম ।
তো কি হতে চলেছে মালিনীর সঙ্গে? বায়ু কি করবে মালিনীর সঙ্গে ? ওরা দুজন কি এক হবে? জানার জন্য জুড়ে থাকো আমার সঙ্গে🙂